Summary
এই রচনা মৃতদেহ ও মৃত্যুর ধারণা নিয়ে আলোচনা করে, যেখানে অনন্ত কালের প্রভাব এবং মৃত্যু ও যন্ত্রণার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। লেখক প্রশ্ন করেন কেন মন দুঃখিত এবং মৃত্যুর পাষাণের সামনে প্রার্থনার ব্যর্থতা উল্লেখ করেন।
মৃত্যুর এক অন্য অর্থের কথা বলা হয়েছে, যা অমৃতের পুত্রদের পথে যন্ত্রণাকে মুছে দেয়। এখানে উল্লেখিত মহান কবিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা এই পথে গিয়েছেন।
লেখকের সারমর্ম হলো, এই শান্তি আমাদের সকলের জন্য এবং মৃত্যুর বিহীন গানের সাথে প্রফুল্ল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ওরে মন কান্না কেন? যন্ত্রণায় কেন জর্জরিত?
মৃত্যুর পাষাণ বুকে প্রার্থনার বাণী ব্যর্থ হয়ে
অবিশ্রান্ত ফিরে আসে চলে কাল নির্লিপ্ত নিৰ্ভয়ে।
তুমি কি জানো না মন আমরা কালের হাতে ধৃত?
বুঝি তাই মৃত্যু তার অন্য এক অর্থ নিয়ে আসে:
অনির্বাণ দীপ্তি যার অমৃতের পুত্রদের পথে
সমস্ত যন্ত্রণা মুছে বহমান দুর্নিবার শোতে,
সেই স্বপ্নে তারাফুল ঝরে পড়ে মৃত্তিকার ঘাসে।
যে পথে গিয়েছে তারা কালিদাস, দান্তে ও হোমার
অজেয় রবীন্দ্রনাথ, বেদব্যাস, খৈয়াম, হাফিজ,
সুকান্ত-মিন্টন-শেলী অকাতরে ঢেলে মনসিজ
সেই পথে গেছে সেও। এই শান্তি আমার তোমার।
হে মন প্রফুল্ল হও। শোনো তার মৃত্যুহীন গান
মানুষ সকল সত্য। এই সত্যে আমি অনির্বাণ ।